গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকার চার বিঘা জমির ওপর গড়ে উঠেছে এসএম সোর্সিং নামের তৈরি পোশাক কারখানা।২০১৮ সালের শেষ দিকে এই কারখানায় উৎপাদিত তৈরি পোশাক ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) রপ্তানি শুরু হয়।বাংলাদেশের এই ছোট কারখানা লিড সনদে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে বিশ্বের শীর্ষ পরিবেশবান্ধব কারখানার স্বীকৃতি অর্জন করেছে।

১১০ নম্বরের মধ্যে এসএম সোর্সিং পেয়েছে ১০৬। গতকাল মঙ্গলবার এই কারখানা আনুষ্ঠানিকভাবে লিড সনদ পেয়েছে।এত দিন ১০৪ নম্বর নিয়ে ময়মনসিংহের গ্রিন টেক্সটাইল (ইউনিট ৪) ছিল বিশ্বের শীর্ষ পরিবেশবান্ধব কারখানা।বিশ্বের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান পরিবেশবান্ধব স্থাপনার সনদ দিয়ে থাকে। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি)। ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ইউএসজিবিসি যে সনদ দেয়, সেটির নাম ‘লিড’।

এ সনদ পেতে প্রতিটি প্রকল্পকে ইউএসজিবিসির তত্ত্বাবধানে স্থাপনা নির্মাণের কাজ থেকে শুরু করে উৎপাদন পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ে সর্বোচ্চ মান রক্ষা করতে হয়।ভবন নির্মাণ শেষ হলে লিড সনদের জন্য আবেদন করতে হয়। এমনকি পুরোনো ভবন সংস্কার করেও সনদের জন্য আবেদন করা যায়। বিজিএমইএর তথ্যানুযায়ী, তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতে বর্তমানে লিড সনদ পাওয়া পরিবেশবান্ধব কারখানা ২০৬টি। তার মধ্যে লিড প্লাটিনাম সনদ পেয়েছে ৭৬টি। গোল্ড ১১৬টি, সিলভার ১০টি এবং সার্টিফায়েড সনদ পেয়েছে ৪টি কারখানা। সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সনদ পেয়েছে এসএম সোর্সিং।

তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ আজ বুধবার জানিয়েছে, শুধু এসএম সোর্সিং ও গ্রিন টেক্সটাইল নয়, বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় পরিবেশবান্ধব ১০টি কারখানার ৯টিই এখন বাংলাদেশে। এসএম সোর্সিং কারখানার স্বত্বাধিকারী মির্জা শামস মাহমুদ ২০১৩ সালে বায়িং হাউসের ব্যবসা শুরু করেন। ব্যবসা বাড়তে থাকলে কোনাপাড়া এলাকায় এসএম সোর্সিং নামের পোশাক কারখানা গড়ে তোলেন। ২০১৮ সালের শেষ দিকে কারখানাটির উৎপাদন শুরু হয়।মির্জা শামস মাহমুদ আজ বিকেলে বলেন, ‘আমরা এত ভালো স্কোর পাব কল্পনাও করিনি। আমরা আমাদের কারখানায় উন্নত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার পাশাপাশি পরিবেশবান্ধবও করতে চেয়েছি। এসএম সোর্সিং ছাড়াও আশুলিয়ায় ম্যাঙ্গো টেক্স নামে আরেকটি পোশাক কারখানা রয়েছে মির্জা শামস মাহমুদের।